ভারতে কমেছে ভিয়েতনামে স্থিতিশীল ও থাইল্যান্ডে বেড়েছে

চলতি সপ্তাহে এশিয়ার চালের বাজারে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এ সময়ে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কমে এসেছে। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতনের ফলে এমনটা ঘটেছে। একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় বেড়েছে থাই চালের দাম। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

গত সপ্তাহে ভারতের সবচেয়ে বেশি রফতানি হওয়া ৫ শতাংশ হালকা সেদ্ধ চালের দর দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ৩৫৭-৩৬১ ডলার। পূর্ববর্তী সপ্তাহের থেকে যা কিছুটা কম। এর আগের সপ্তাহে একই মানের চালের দাম ছিল ৩৬৩-৩৬৭ ডলার। ডলারের বিপরীতে রুপির দর রেকর্ড পরিমাণ কমে আসায় এমন চিত্র দেখা যায়। অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাদার এক রফতানিকারক বলেন, রুপির দরপতনের ফলে রফতানিকারকরা কম দামে চাল রফতানি করতে পারছেন। এতে সব ভোক্তার কাছে ভারতীয় চালের চাহিদা বেড়ছে।

গত সপ্তাহে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম অনেকটা স্থিতিশীল ছিল। এ সময় এ মানের প্রতি টন চালের দাম ছিল ৪১৫-৪২০ ডলার। এক সপ্তাহ আগে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম ছিল ৪২০ ডলার। হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ কম থাকায় বাণিজ্য পরিস্থিতি শান্ত। তবে জুন থেকে চালের বাণিজ্য বাড়তে পারে। এ সময় ফিলিপাইনস, আফ্রিকা, চীন ও বাংলাদেশ থেকে শক্তিশালী চাহিদা প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

চলতি বছর ভিয়েতনামের চাল রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৬০-৬২ লাখ টন। গত বছর খাদ্যশস্যটির রফতানির পরিমাণ ছিল ৬২ লাখ ৪০ হাজার টন। ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যে এমনটা জানা যায়।

গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম বেড়েছে। এ সময় এ মানের প্রতি টন চালের দাম দাঁড়ায় ৪৫০ ডলার। এর আগের সপ্তাহে একই মানের প্রতি টন থাই চালের দাম ছিল ৪৩২-৪৩৫ ডলার। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, এ সময়ে ইরাক ও ইরান থেকে প্রচুর চাহিদা এসেছে। দেশগুলো তাদের নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে এসব চাল ক্রয় করে নিয়ে গিয়েছে। এমন চাহিদা খাদ্যশস্যটির দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে।

অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান, দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যশস্যটির সরবরাহও কমে আসতে শুরু করেছে। তবে জুন ও জুলাইয়ে শস্যক্ষেত্রগুলো থেকে নতুন একটি অমৌসুমি চালের চালান আসার কথা।

অন্যদিকে, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্য হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি মৌসুমে এসব ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে কৃষকদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও চাল সংগ্রহে দরের পরিমাণও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ সময় প্রতি কেজি চালের জন্য কৃষকদের পরিশোধ করা হচ্ছে ৪০ টাকা (৪৬ সেন্ট), গত বছর প্রতি কেজি চালের জন্য পরিশোধ করা হয়েছিল ৩৬ টাকা। সরকারের দরিদ্র সহায়তা ও অভ্যন্তরীণ মজুদের জন্য এসব চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।