সাও পাওলোতে অস্বাভাবিক শক্তিশালী বালুঝড়ে কমপক্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মারাত্মক খরা পরিস্থিতিতে সাও পাওলোতে অস্বাভাবিক শক্তিশালী বালুঝড়ে কমপক্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ হওয়ার পর থেকে গ্রামাঞ্চলে অন্তত তিনবার বিশাল বালু মেঘসহ প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) পর্যন্ত বাতাস বয়ে যায়। এই পরিস্থিতি সাও পাওলো এবং মিনাস গেরাইস রাজ্যের শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ঝড়ে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ভেঙ্গে পড়ায় সাও পাওলোতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাজিলের আবহাওয়া চ্যানেল মেটসুল-এর আবহাওয়াবিদ এস্টেল সিয়াস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এ ধরনের ঝড় স্বাভাবিক হলেও, এত তীব্র মাত্রায় হয় না, যা ২০২১ সালে দেখা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টির অভাব, উচ্চ তাপমাত্রা ও কম আর্দ্রতার ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, শক্তিশালী ঝড়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। সিয়াস বলেন, ‘এই শতাব্দীতে, প্রতিবছর রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে। চরম আবহাওয়ায় বৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, খরা, ঠাণ্ডাসহ নানা রূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ধুলিঝড় তারই সাক্ষ্য বহন করছে। এই ধরনের ঝড় মরু অঞ্চলে ঘন ঘন দেখা দিতে পারে।
এদিকে, ব্রাজিল ৯১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরার মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে দেশের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের পানির স্তর হ্রাস পাওয়ায় বিদ্যুৎ খরচ বাড়ছে।