দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মেহেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে পড়ে থাকা বোমা সদৃশ বস্তুর বিষয়টি ইতি টানা হয়েছে।
শনিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে পুলিশের এন্টিটেররিজম ইউনিটের (এটিআই) একটি দল বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে। ইলেকট্রিক ডিভাইস সার্কিটযুক্ত বোমা সদৃশ্য বস্তুটির মধ্যে শুধুই বালু ভরা ছিল বলে জানায় উদ্ধারকারীরা।
মেহেরপুর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাল স্কচ টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বোমা সদৃশ্য বস্তু তৈরি করা হয়। তাতে মোবাইল ব্যাটারি ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র দিয়ে এমনভাবে রাখা হয় যাতে যে কেউ দেখলেই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসযুক্ত বোমা বলে সন্দেহ করবে। এখনকার ঘটনাটি ছিল এমনই। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুর্বৃত্তরা এ কাজটি করে থাকতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ব্যাগে লাল স্কচ টেপ দিয়ে মোড়ানো ইলেকট্রিক ডিভাইসযুক্ত বোমা সদৃশ্য বস্তু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে প্রাচীরে দেখতে পায় স্থানীয়রা। যা নিয়ে রীতিমতো ভীতি সৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থল থেকে আনছারুল ইসলাম (আলকায়দা) জঙ্গি সংগঠনের নাম সম্বলিত হাতে লেখা একটি চিরকূট উদ্ধার করে পুলিশ। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা এটি রাখতে পারে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খরব পেয়ে র্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে যায় গতকাল শুক্রবার সকালে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (এটিআই) একটি দল আজ সকাল থেকে ঘটনাস্থল ঘিরে উদ্ধার কার্যক্রম চালায়।
উদ্ধার হওয়া চিরকুটের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কেউ জঙ্গি সংগঠনের নাম ব্যবহার করতে পারে। এর সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে।