বীমা শিল্পকে মানবিক কল্যাণে কাজে লাগানোর আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, উৎপাদন এবং অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বীমা কোম্পানিগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। বীমা কোম্পানির মালিকদের প্রতি মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি গুরুত্ব প্রদানের জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইনক্লুসিভ ইন্স্যুরেন্স ফর ইমার্জিং মার্কেটস: কোপিং উইথ ক্লাইমেট রিস্ক শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প প্রভৃতির মতো জলবায়ুজনিত চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত ঘটছে। দিন দিন এসব বিপর্যয় তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রাকৃতিক বিপর্যয়প্রবণ এলাকা।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশও এরকম একটি অধিকমাত্রায় জলবায়ু দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। এখানে বছরের বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবেচয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুযায়ী প্রাকৃতিক ঝুঁকিপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। এসব ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার সরাসরি তদারকি করে থাকে। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের সমন্বয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুই প্রথম সেচ্ছাসেবক তৈরি করেছিলেন। তারা দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় মানুষের সেবায় কাজ করত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্রের হার আমরা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সক্ষম হয়েছি। এতে বীমাখাতেরও অবদান রয়েছে। কেননা বীমাখাত সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের নিকট থেকে সঞ্চয় সংগ্রহের মাধ্যমে বিনিয়োগ সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র তৈরি হয় এবং দারিদ্র দূর হয়।