জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেনের চেয়ে বাড়ি, গাড়ি, টাকাপয়সা ও ডলারে অনেক বেশি সম্পদশালী। স্পিকারের দুটি গাড়ি থাকলেও স্বামীর একটিও নেই। প্রায় সব দলের অধিকাংশ প্রাথীর্র বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তাদের দুজনের কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তার স্বামী একজন ফামাির্সউটিক্যাল কনসালটেন্ট। কাজ করছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
একাদশ সংসদ নিবার্চনে প্রাথীর্ হিসেবে জমা দেয়া ড. শিরীন শারমিনের হলফনামা পযাের্লাচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নিবার্চন করছেন স্পিকার। নিবার্চন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় শিরীন শারমিন নিজেকে পিএইচডি (আইন) ডিগ্রিধারী বলে উল্লেখ করেন। এ আসনে নিবার্চনের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মনোনয়ন তুলেছিলেন।
সংসদে জমা দেয়া স্পিকারের জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, তিনি নবম জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নিবাির্চত হন। ৪৬ বছর বয়সে তিনি সবর্কনিষ্ঠ স্পিকাররূপে সাবেক স্পিকার ও বতর্মান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ড. শিরীন ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ পালাের্মন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন নিবাির্চত হন।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নগদ ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১৫৮ টাকা আর ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার (৭,৭৮৪ ইউএস ডলার) সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। তার স্বামী ইশতিয়াকের কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই। তার কাছে নগদ টাকা আছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৯ টাকা। ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৭৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১১ টাকা। আর স্বামীর আছে মাত্র ৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ টাকা। তবে দুজনের একজনেরও কোনো ঋণ নেই। শিরীন শারমিন দুটি গাড়ির মালিক। যার মূল্য ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইশতিয়াকের কোনো গাড়ি নেই।
পোস্টাল, সেভিংস সাটিির্ফকেট ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রসহ স্থায়ী আমানতে স্পিকারের বিনিয়োগ রয়েছে এক কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার ৯৩৬ টাকা। আর স্বামীর রয়েছে ২১ লাখ ৭৫ হাজার। আর ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্বণার্লঙ্কার রয়েছে। স্বামীর ৩০ তোলা স্বণর্ থাকলেও দাম জানা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্পিকারের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার। আর স্বামীর ৫০ হাজার টাকার। স্পিকারের পঁাচটি বাড়ি/ফ্ল্যাট/অ্যাপাটের্মন্ট থাকলেও স্বামীর একটিও নেই। এছাড়া ওয়ারিশসূত্রে একটি বাড়ির ৫০ শতাংশের মালিক তিনি।
শিরীন শারমিন বছরে মোট ৭৩ লাখ ২১ হাজার ৭১০ টাকা আয় করেন। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপাটের্মন্ট ভাড়া বাবদ আয় ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকা, পেশা (চারটি আয়ের খাতÑ শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন ও পরামশর্ক) থেকে আয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য সুদ বাবদ খাতে আয় করেন ৯১ হাজার ৮৬৫ টাকা। হলফনামায় স্বামীর এসব আয়ের ঘরে ‘নাই’ লেখা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নিবার্চনের ভোট। এ নিবার্চনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে ২ ডিসেম্বর। প্রাথির্তা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
শিরীন শারমিন বছরে মোট ৭৩ লাখ ২১ হাজার ৭১০ টাকা আয় করেন। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপাটের্মন্ট ভাড়া বাবদ আয় ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকা, পেশা (চারটি আয়ের খাত, শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন ও পরামশর্ক) থেকে আয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য সুদ বাবদ খাতে আয় করেন ৯১ হাজার ৮৬৫ টাকা। হলফনামায় স্বামীর এসব আয়ের ঘরে ‘নাই’ লেখা।