বাস্তবমুখী বাজেটের পথে অন্তর্বর্তী সরকার

  • মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রধান অগ্রাধিকার
  • বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
  • বড় প্রকল্প নয়, গুরুত্ব গ্রামীণ অবকাঠামো ও কর্মসংস্থানে
  • সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভাতা ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে
  • রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টা
  • বাজেট ঘোষণা ২ জুন, অর্থ উপদেষ্টা দেবেন টিভির পর্দায়

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সাজাতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার মূল লক্ষ্য—দেশে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, এ বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক এবং সীমিত সম্পদের মধ্যে থেকে পরিচালিত।

নতুন বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটির তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। বাজেট ঘোষণার জন্য নির্ধারিত হয়েছে ২ জুন, সোমবার। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ টেলিভিশনের পর্দায় এ বাজেট উপস্থাপন করবেন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে।

বড় কোনো প্রকল্পের পরিবর্তে এবারের বাজেটে জোর দেওয়া হচ্ছে গ্রামীণ পর্যায়ে কর্মসংস্থান তৈরিতে। রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, সংস্কারসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর।

সীমিত সাধ্যের মধ্যেও বাড়ানো হচ্ছে ভাতার পরিমাণ ও ভাতাভোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে রাখার পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫.৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়নে বাজেটে থাকবে বাড়তি গুরুত্ব। পাশাপাশি, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা এবং টাস্কফোর্সের সুপারিশের প্রতিফলনও থাকবে বাজেট পরিকল্পনায়।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, “এই বাজেট উচ্চাভিলাষী না হলেও বাস্তবায়নই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।”