ভারতীয় একটি যন্ত্র উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে । এ ধরনের যন্ত্র সে এলাকার মানুষ আগে কখনো দেখেনি। এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা এলাকাবাসীর মাঝে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী গ্রামে এ যন্ত্রটি বেলুনের মাধ্যমে উড়ে এসে পড়ে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে যন্ত্রটির ভেতরে লেখা থেকে, তা আবহাওয়া মাপার যন্ত্র বলেই জানা যায়।
রবিবার সন্ধ্যায় একটি বেশ বড় আকৃতির পলিথিন আবৃত বেলুন উড়ে এসে দামুড়হুদার দেউলী গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আবুল কালামের গম ক্ষেতে পড়ে। ওই বেলুনের সঙ্গে ছিল প্লাস্টিকের আদলের একটি সোলারবাল্ব, একটি ব্যাটারি ও তিন মাথাওয়ালা ক্যামেরার সমন্বয় একটি সার্কিট। প্যাকেটের ভারতীয় ছোট আকৃতির পতাকা দিয়ে ওপরের অংশ ঢাকা ছিল।
স্থানীয় আবুল কালাম জানান, বড় বেলুনের সঙ্গে বাঁধা বাক্সটি উড়ে এসে পড়লে খবর দেওয়া হয় দামুড়হুদা থানা পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ভারত থেকে উড়ে আসা যন্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় যন্ত্রটি নিয়ে কী করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, ভারত থেকে বেলুনের মাধ্যমে যন্ত্রটি বাংলাদেশের ভুখণ্ডে পড়ার পর বাক্সটির গায়ে থাকা নম্বরে আমরা যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছি ওটি আবহাওয়া ও বৃষ্টি মাপার যন্ত্র। ভারতের কৃষ্ণনগরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার সঞ্জিব চক্রবর্তী এটির আবিষ্কারক। মূলত জয়বায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিরূপণের যন্ত্র এটি। বাতাসের তোড়ে ভেসে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
ভারতীয় পতাকা সম্বলিত বাক্সটির গায়ে বাংলায় লেখা আছে, ‘বেলুন ফোলা অবস্থায় ধূমপান করবেন না, বাক্সটিকে জলে ডোবাবেন না, লাঠির আঘাত করবেন না, আগুনে পোড়াবেন না, পুলিশ বা সংস্থার কর্তৃপক্ষ না আসা পর্যন্ত হাত দেবেন না, ক্ষতি বা আঘাত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, বাক্সটি বিপদজনক নয়।’