সুনামগগঞ্জের তাহিরপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের স্ত্রী জিনাতুল তানভি ঝুমুরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দশ মাস ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে, কিংবা ছুটির আবেদন না করেই নিয়মিত বেতন নেয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরে তাকে বরখাস্ত করা হলো।
শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাকে বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ১০ মাস ধরে ঝুমুর তার কর্মস্থলে না গিয়েই নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন এমন ঘটনার প্রমাণ পায় অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি।
সুনামগঞ্জের তেঘরিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা জিন্নাতুল তানভি ঝুমুর কোন কারণ না দেখিয়েই গেলো ১০ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
তাহিরপুরের তরন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ডেপুটেশেনে তেঘরিয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয় জিনাতুল তানভি ঝুমুরকে। কিন্তু গত ১০ মাসেও সেখানে যোগ দেননি তিনি। অথচ নিয়মিত তুলেছেন বেতন ভাতা।
বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন দাবি করেছিলেন, তার স্ত্রী নিয়ম মেনেই ছুটি কাটাচ্ছেন। তবে জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, এটি অনিয়ম, এবং তারা এ ব্যাপারে মন্ত্রাণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে।
তেঘরিয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা ইয়াসমিন জানান, জিন্নাতুল ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তারিখে একবার স্কুলে এসেছিলেন কিন্তু এরপর আর আসেন নাই। তার অবস্থান সম্পর্কেও কিছু জানা যায় না, কারণ তিনি ফোন ধরেন না।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, তিনি ৮ জানুয়ারি তার মূল কর্মস্থলে প্রত্যাবর্তনের কথা বলে তেঘরিয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। কিন্তু তিনি সেখানে আর যোগদান করেন নি। অনুমোদন ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা অসদাচারণের শামিল। এই অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে তার স্বামী সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই ছুটি কাটাচ্ছেন তার স্ত্রী এবং তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে আছে। তার ছুটির বিষয়ের আবেদন পত্র দেয়া আছে। – ডিবিসি নিউজ