বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড়। এটি প্রবল শক্তিতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ৫ মের পর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়।এরপর প্রবল শক্তি নিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে। এতে উপকূলবর্তী জেলাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে সর্বোচ্চ ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।