বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ফেনীতে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল ও পথসভা করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের সঙ্গে নেতাদের ধস্তাধস্তি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
একপর্যায়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ কর্মসূচি সমাপ্ত করে অবস্থান ত্যাগ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
অবশ্য ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ সময় দুই পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম যায়নি।
পুলিশের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ।
অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
তিনি বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ভন্ডুল করতে যুবলীগ অযাচিত সমাবেশ ডেকে ১৪৪ ধারা জারি করায়। এভাবে করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেসবাহ উদ্দিন জানান, পূর্বনির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে নেতাকর্মীর শহরের ইসলামপুর রোডের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দিতে চাইলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুল হক বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ফেনী ওয়াপদা মাঠসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে শহরজুড়ে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগ সভা আহ্বান করায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় শহর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
তিনি জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফেনী শহর ও পৌর এলাকায় এই ১৪৪ ধার বলবৎ থাকবে। ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদারকি করছেন।