এক মেয়ে অমতে বিয়ে করেছেন। তার ক্ষোভে দুই মেয়ে ও তাদের চার সন্তানকে পুড়িয়ে মেরেছেন এক বাবা। এমনটাই বলছে পাকিস্তানের পুলিশ। বাড়িয়ে আগুন লাগিয়ে তাদের মারা হয়। সোমবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল মাজিদ রয়টার্সকে ফোনে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মোজাফফরগর জেলার একটি গ্রামে একই বাড়িতে বাস করতেন ওই দুই বোন ফৌজিয়া বিবি ও খুরশিদ মাই। সেখানেই তাদের বাবা মানজুর হোসাইন আগুন ধরিয়ে দেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এতে মাই’র স্বামীও মারা যান।
গত ১৮ মাস আগে ফৌজিয়া বিবি তার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেন মেহবুব আহমদকে। তাদের এ বিয়েটি ছিল ভালোবাসার বিয়ে।
আর নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে, জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পাশের গ্রামের বাসিন্দা তাদের বাবা মানজুর হোসাইনকে খোঁজা হচ্ছে।
ফৌজিয়া বিবির স্বামী মেহমুব আহমেদ পুলিশকে জানিয়েছেন, আগুন লাগানোর সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন। কাজ শেষে ভোরে বাড়ি ফিরে তিনি আগুনের বিষয়টি জানতে পারেন।
মেহবুব জানান, আগুনে তার চার মাস বয়সী ছেলে মারা গেছে। সেই সাথে মারা গেছে খুরশিদ মাই’র ২, ৬ ও ১৩ বছর বয়সী তিন সন্তান।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন বলছে, দেশটিতে পারিবারিক সম্মতি বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করার কারণে প্রতিবছর কয়েক হাজার নারীকে হত্যার শিকার হতে হয়।
সূত্র : রয়টার্স