সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরী
আইসিএবি’র সম্মাননা পেলো প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি

বীমাখাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে ২০১৯ সালের সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরির জন্য পুরস্কৃত করেছে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বায়েজিদ মুস্তবা সিদ্দিকীর হাতে দ্বিতীয় পুরস্কারের ক্রেস্ট তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার শামীম আল মামুন।

পুরস্কার প্রাপ্তিতে আইসিএবি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বায়েজিদ মুস্তবা সিদ্দিকী বলেন, যে কোন অর্জন সম্ভাবনার পথ চলায় আলোক উজ্জল ভুমিকা রাখে। অবশ্যই সম্মাননা ক্রেস্ট প্রাপ্তি গৌরবের, অংহকারের। এতে করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং প্রত্যাশা আরো বেড়ে গেলো। আমরা দেশের শক্তিশালী অর্থনীতি বির্ণিমানের মধ্যদিয়ে জাতিকে সোনার বাংলা উপহার দিতে  বীমা খাতে কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হামিদ উল্ল্যাহ ভূঁইয়া। এসময় বক্তব্য রাখেন, আইসিএবির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক, রিভিউ কমিটি ফর পাবলিস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্স অ্যান্ড রিপোর্টসের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

এ বছর মোট ৫৪ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা পড়ে আইসিএবিতে। সাবেক অর্থ সচিব এম মতিউল ইসলামকে প্রধান করে নয় সদস্যবিশিষ্ট জুরি বোর্ড আইসিএবি পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। শুক্রবার জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আর্থিক খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ১৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়। একইসাথে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮ প্রতিষ্ঠানকে সান্ত্বনাসূচক সার্টিফিকেট অব মেরিট প্রদান করে আইসিএবি।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা  ব্যবস্থাপনা পরামর্শ সেবার পাশাপশি কৌশলগত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং প্রবৃদ্ধিতে এর কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে।

৯০ শতাংশ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের কোনো মতামত থাকে না, এমন তথ্য উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হামিদ উল্ল্যাহ ভূঁইয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় অনেক ক্ষেত্রে গুণগতমান বজায় রাখা হয় না। এ বিষয়ে আমাদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।

প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অবস্থা নির্ণয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, এমন মন্তব্য করে বাণিজ্য সচিব বলেন,  নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা ও আস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।