সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
সম্প্রতি Online Portal- এ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত চন্দ্র আইচ এসব সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারী খাতের এই জীবন বীমা প্রতিষ্ঠাটির সুনাম ক্ষুন্ন করে অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য একটি কুচক্রি মহল বেনামী চিঠি, ভূয়া ইমেল করে ভুল তথ্য দিয়ে ‘‘অতিরঞ্জিত, মিথ্যা, বানোয়াট গল্প’’ পরিবেশন করছে।
এসব বেনামী চিঠি, ভূয়া ইমেল প্রেরণের বিষয়ে মতিঝিল থানার সাধারন ডাইরী নং-৫৬০ তারিখ ০৯/০২/২০২২ইং রুজু করা হয়েছে, যা কাউন্টার টেরোরিজম সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন বিভাগ কর্তৃক তদন্তাধীন আছে।
প্রকৃত সত্য ঘটনা হলো, প্রগ্রেসিভ লাইফ ধারাবাহিকভাবে সম্মানিত গ্রাহকদের দাবী পরিশোধ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির এর মাননীয় পরিচালকদের মধ্যে কোন আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ নাই। একে অপরের মধ্যে কোন পক্ষ/ বিপক্ষ নাই। একে অপরের মুখোমুখি এরূপ উক্তিটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
এছাড়াও জনাব জহির উদ্দিন ০৪ (চারটি) পদ একাই দখল করেনি, এটি কোন চরদখলের ঘটনা নয়। তিনি জীবন বীমা শিল্পের প্রথম জীবন বীমা কোম্পানী ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ -এ ১৯৯৩ সালে কর্মকর্তা হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ডিসেম্বর ৩০, ২০০৩ তারিখে নিজেকে আরো অধিকতর উন্নয়ন ও জীবন বীমা শিল্পে মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে উচ্চপদে চাকুরী পেয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ হতে পদত্যাগ করেন। অত:পর এপ্রিল ১৭, ২০০৪ তারিখে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর তদানীন্তন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এপ্রিল ০১, ২০০৪ হতে কার্যকর করে তার পদত্যাগ পত্র ১৭/০৪/২০০৪ইং গ্রহন করেন।
জনাব জহির এপ্রিল, ২০০৪ সাল থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত নির্বাহী [প্রধান আইন কর্মকর্তা, সম্পদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান] হিসাবে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর দক্ষতার সাথে কাজ করেন এবং মেধার স্বাক্ষর রাখেন। তাকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করতে না পেরে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার অভিযোগ ব্যতিত চাকুরীর অবসান ঘটান । ২৭/০২/২০১৭ইং তারিখে জনাব জহির উদ্দিনকে হোমল্যান্ড কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র প্রদান করে। তার চাকুরী অবসানের পর হোমল্যান্ড কর্তৃপক্ষ তার ভবিষ্য তহবিল, প্রাপ্য আনুতোষিকসহ অন্যান্য পাওনাদি যথাযথভাবে তাকে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। সকল বিষয়টি পরিচ্ছন্ন, বিধি এবং আইনানুগভাবে সমাপ্ত হয়।
কোম্পানীর সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার, সম্মানিত পলিসি হোল্ডার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী কে সর্বোপরি কোম্পানীর বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করছে এই বীমা প্রতিষ্ঠানটি। যখন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আদেশের আলোকে এবং মাননীয় পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনায় কোম্পানীকে অতি স্বল্প সময়ে পুন:র্গঠন করে সামনের দিকে বর্তমান ব্যবস্থাপন কর্তৃপক্ষ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখনি দুষ্টচক্র ও লুন্ঠনকারীরা পুনরায় ব্যক্তি স্বার্থ ও গোষ্ঠী স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এরূপ বেনামী চিঠি দ্বারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
নামে-বেনামে পাঠানো চিঠি, যার কোন ভিত্তি নাই এবং তাদের বেনামী চিঠিতেও কোন অভিযোগ নাই। প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণ হওয়া কতিপয় দুর্নীতি গ্রস্ত এবং অভ্যাসগত ভাবে প্রটোকল লংঘন কারী এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপকারী তথা পূর্বে কোম্পানীকে লুণ্ঠনকারী গোষ্ঠী এখনো ষড়যন্ত্র করছে, এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।