ভারতের কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পুনিত রাজকুমার মারা গেছেন। গেল ২৯ অক্টোবর মাত্র ৪৬ বছর বয়সে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর আগে নিজের চোখ দান করে গেছেন এই সুপারস্টার।
মূলত পুনিত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবে। বাবার সেই কথা রেখেছেন পুনিত। তার মৃত্যুর ছয় ঘণ্টার মধ্যে চক্ষুদান প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন চিকিৎসকদের একটি দল। তার দান করা চক্ষুতে ৪ তরুণ-তরুণী তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নারায়ণ নেত্রালয় হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভুজঙ্গ শেট্টির নেতৃত্বাধীন কর্নিয়া টিম পুনিতের জোড়া চোখ সংগ্রহ করে। সাধারণত এক জোড়া সুস্থ চোখ থেকে দু’জনের দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুনিতের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে চারজনের দৃষ্টি ফেরাতে সক্ষম হয়েছে চিকিৎসকরা। সেখানে সম্ভবত এই প্রথমবার একজনের মরণোত্তর চক্ষুদানে উপকৃত হলেন চারজন।
বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই দিনে চারজনের সার্জারি করা হয়। বিধি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় রোগীদের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুনিতের অকালে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা। প্রিয় অভিনেতার চিরবিদায় সহ্য করতে না পেরে জীবন দিতেও দ্বিধা করেননি এক ভক্ত! এই সুপারস্টারের মৃত্যুর খবর শুনেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ভক্ত! আরেক ভক্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও দুই জন।
প্রসঙ্গত, গেল শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) জিমে ওয়ার্কআউট করার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় পুনিতের। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখনই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।