কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পরকীয়া নিয়ে ঝগড়ায় এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
তবে স্বামী বলছেন, স্ত্রীকে তিনি গলাটিপে হত্যা করেননি; রাগ করে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে তার স্ত্রী।
সোমবার উপজেলার ৮নং ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কংশনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর স্বজনরা জানান, কয়েক বছর আগে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক জুয়েল রানার সঙ্গে রাবেয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর সুন্দর জীবনযাপন করেছেন ওই দম্পতি। তাদের কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। পরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জুয়েল। এ কারণে রাবেয়ার সঙ্গে তার প্রায় ঝগড়া ও মারামারি হতো।
সোমবার অন্যান্য দিনের মতো স্বামী ও স্ত্রী হাতাহাতির সময় স্ত্রী রাবেয়াকে গলাটিপে হত্যা করে তার স্বামী। পরে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাবেয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামী জুয়েল রানা।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
স্বামী জুয়েল রানা জানান, আমাদের মাঝে মধ্যে ঝগড়া হতো, তবে আমি আমার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করিনি। সে রাগ করে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আমি কোনো পরকীয়া করিনি, তাকে অনেক ভালোবাসি।
রাবেয়া আক্তারে মা-বাবার বক্তব্য, আমাদের মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে নাটক সাজায় জুয়েল রানা। সে মেয়েকে বিভিন্ন সময় মারধর করত, রাবেয়া আমাদের জানাত। তার পরকীয়া প্রেম ছিল, এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-মারামারি হতো।
বুড়িচং থানা পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ওই গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা নাকি বিষপানে মারা গেছেন মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পুলিশের তদন্ত চলছে।