অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় এবং করোনার প্রভাব ভিয়েতনামের কফি খাতের পিছু ছাড়ছে না। এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটির কফি রফতানি কমেছে। গত মাসেও রফতানি ছিল নিম্নমুখী। দেশটির শুল্ক বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভিয়েতনাম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কফি রফতানিকারক দেশ। শুল্ক বিভাগ বলছে, জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটি বিশ্ববাজারে ১১ লাখ ৮০ হাজার টন কফি রফতানি করে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এদিকে সেপ্টেম্বরে দেশটি ১ লাখ ৩৪০ টন কফি রফতানি করে। আগস্টের তুলনায় রফতানি ১০ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রফতানীকৃত কফি থেকে দেশটির সরকার ২২০ কোটি ডলার আয় করে। রফতানি কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে চাল রফতানিতেও আন্তর্জাতিক বাজারে ভিয়েতনামের বড় হিস্যা রয়েছে। বছরের প্রথম নয় মাসে কৃষিপণ্যটির রফতানিও কমেছে দেশটির। শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনাম ৪৫ লাখ ৭০ হাজার টন চাল রফতানি করে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি কমেছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে সেপ্টেম্বরে চাল রফতানি ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬২৪ টন চাল রফতানি করতে সক্ষম হয়।