ব্রোকারেজ হাউজ তামহা সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও ডিএসইর নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থ আত্মসাত্কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি দ্রুত অর্থ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তামহা সিকিউরিটিজের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীরা জানান, তামহা সিকিউরিটিজের মালিক ডেল্টা হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের ডাক্তার মো. হারুনুর রশীদ এবং তার বোন ব্রোকারেজ হাউজটিতে থাকা বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে তামহা সিকিউরিটিজ। যাতে বিনিয়োগকারীরা তাদের এই জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে না পারেন। তারা যে ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করত সেটি দিয়ে এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের শেয়ার কেনাবেচার তথ্য জানাত। এ কারণে আমরা তাদের জালিয়াতি ধরতে পারিনি। সিকিউরিটিজ হাউজটির মালিকসহ তার দুই ভাই-বোন প্রায় শত কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
কিন্তু আমাদের প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের আবেদন ছাড়া সিডিবিএল এ মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করল কীভাবে?
ডিএসইর নজরদারির অভাবে আজ আমরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি যথাযথভাবে নজরদারি করত তাহলে এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটত না। সংবাদ সম্মেলনে তামহা সিকিউরিটিজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী বাবুল, নজরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আবু তাহের, মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।