দেশেই বাড়ছে কাঁচামরিচের সরবরাহ, বন্ধ আমদানি

শীতকাল চলে আসায় দেশেই কাঁচামরিচের উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে বাড়ছে সরবরাহ। ফলে কমে আসছে দামও। তাই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গেলো দুদিন ধরে ভারত থেকে মরিচ আমদানি বন্ধ আছে।

আমদানিকারকদের দাবি, দেশেই কাঁচামরিচের উৎপাদন শুরু এবং খরচ বেশি হওয়ায় ভারত থেকে আমদানি আপাতত বন্ধ আছে।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে রোববার দুটি ট্রাকে ১৭ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। এরপর এখন পর্যন্ত কাঁচামরিচের আমদানি হয়নি।

এদিকে, হিলির আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৮০ টাকা কেজি। দাম সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

হিলি বাজারের আড়তদার মিথুন বলেন, বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহ আগে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। গত দুদিন স্থলবন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি বন্ধ থাকলেও দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন শীতকাল চলছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণ কাঁচামরিচ বাজারে সরবরাহ হচ্ছে। ফলে ভারতীয় মরিচের তেমন প্রয়োজন নেই।

হিলি শিপিং লাইন আমদানি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক মাহাবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বগুড়া, নওগাঁ ও পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাঁচামরিচের চাষ হয়েছে। এতেই বর্তমানে আমাদের দেশে মরিচের চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে। এরই মধ্যে সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় কম থাকলে তখন ভারত থেকে মরিচ আমদানির প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা মরিচের চেয়ে দেশি মরিচের দাম অনেক কম। আমদানি করে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ কারণেই এখন আমদানি বন্ধ আছে।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশীয় বাজারে কাঁচামরিচের যে দাম তাতে ভারত থেকে আমদানি করে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে আমদানি বন্ধ আছে।