প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান দুর্যোগ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়গুলোর প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়গুলো বলছে ছুটি বাতিল করা হয়েছে, এই করছি, সবাই আছি।’ বলতে বাধ্য হচ্ছি—কিছুদিন আগে একটা বড় ঝড় হলো। সেই ঝড়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে একটা গাছ পড়েছিল, সেই গাছটা কাটার লোক নেই। পিডব্লিউডিকে ডাকলাম, চার ঘণ্টা লাগলো ওই গাছ সরাতে। করাত নেই—করাত পাওয়া গেল না। এই যদি হয় অবস্থা, সারাদেশের কী অবস্থা?
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাজ্জাদুল হাসান। সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার প্রধানরা।
সাজ্জাদুল হাসান বলেন, আমি কক্সবাজারের ডিসি ছিলাম। ৯ নম্বর ১০ নম্বর বিপদ সংকেত বলছেন, এটা আসলে সাধারণ মানুষকে বোঝানো কঠিন হয়ে যায়। আমি দেখেছি সেন্টমার্টিনে যখন ৯ নম্বর সংকেত দিলো, সেখানকার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। তারা বলেন যে, পানিতে হাত দিলেই বুঝতে পারি আসলে এটা ৩ নম্বর নাকি ৪ নম্বর সংকেত। আপনারা যাই বলেন। কাজেই তাদের কনভিন্স করা খুবই কঠিন।
তিনি আরও বলেন, ভূমিধস যখন হয় বার বার মাইকিং করা হচ্ছে আবার সেই পাহাড়ে ওঠে, কোনভাবেই নামে না। এখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ৩১০ কিলোমিটার দূরে আছে বলা হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।