করোনা মহামারীর ধাক্কায় আবারো বিপাকে চীনের অর্থনীতি। শিল্প খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এতে দেশটিতে তামার চাহিদায় মন্দা দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যবহারিক ধাতুটি আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
এপ্রিলে চীনের তামা আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ কমেছে। দেশটির শুল্ক বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনে শিল্প উৎপাদন ও তামার ব্যবহার ব্যাহত হচ্ছে।
চীন বিশ্বের শীর্ষ ধাতব পণ্য ব্যবহারকারী দেশ। জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস জানায়, গত মাসে দেশটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩০ টন অপরিশোধিত তামা ও তামাজাত পণ্য আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯০ টন। এমনকি চলতি বছরের মার্চের তুলনায়ও আমদানি কমেছে। ওই সময় দেশটি ৫ লাখ ৪ হাজার ৯ টন অপরিশোধিত তামা ও তামাজাত পণ্য আমদানি করেছে।
এপ্রিলে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো চীনের কারখানাগুলোর কার্যক্রম ছিল গতিহীন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে এসব কারখানা। কভিড-১৯ জনিত লকডাউনে শিল্প উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে। জটিলতা দেখা দিয়েছে সরবরাহ চেইনে।
পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা লকডাউনের প্রভাবে সাংহাই শহরে গাড়ি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যাতায়াতে কঠোর বিধিনিষেধে প্রপার্টি খাতের প্রবৃদ্ধিও থমকে গিয়েছে।
শুল্ক বিভাগের তথ্য জানায়, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে চীন ১৯ লাখ ৪০ হাজার টন তামা আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি মাত্র দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলে কপার কনসেনট্রেট বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত তামার আকরিক আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯০ হাজার টনে। গত বছরের একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ২০ হাজার টন।
চাহিদা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় তামার দাম সাড়ে চার মাসের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।
শুল্ক বিভাগ জানায়, গত মাসে চীন ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৩ টন অপরিশোধিত অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্য রফতানি করেছে। এর আগের মাসের মতোই রফতানি অপরিবর্তিত আছে।
তবে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে চীনের অ্যালুমিনিয়াম রফতানি ২৯ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত ২২ লাখ ৩০ হাজার টন রফতানি করা হয়।