ত্বকের যত্ন নিতে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লবন ব্যবহারের কথা ভেবেছেন কেউ কখনও? খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি ছাড়াও রুপচর্চায় লবণের ব্যবহার রয়েছে। ত্বকের যত্নে লবণ বেশ জনপ্রিয় একটি উপাদান। ত্বক পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পর্যন্ত লবণের ভূমিকা রয়েছে। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যদিও রক্তচাপের রোগীদের জন্য লবণ ক্ষতিকারক একটি উপাদান, তবুও রূপচর্চার খাতিরে একে একটু সুযোগ দেওয়াই যায়।
ব্রণ কমাতে
যেহেতু লবণের ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ রয়েছে, তাই ব্রণ সহ ত্বকের যে কোনও ধরনের র্যাশ কমাতে লবণ ব্যবহার করা যায়। লবণে ত্বক থেকে যাবতীয় ধুলোময়লা শুষে নেয় এবং ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই এমন স্কিন ক্লিনজার ব্যবহার করুন যাতে লবণ রয়েছে।
ত্বকের ফাঙ্গাস দূর করতে
লবণে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ত্বকের ফাঙ্গাস দূর করে দেয়। স্নানের সময় হাফ কাপ বেকিং সোডা এবং লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে পুরোও শরীরে স্ক্রাব করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের ফাঙ্গাস দূর করে দেবে।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে
নিয়মিত স্ক্রাব করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়। এজন্যে আপনাকে বাজারের দামি স্ক্রাব মোটেই ব্যবহার করতে হবে না। খুব সহজেই লবণের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা বেবি ওয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর ফেসওয়াস করে নিন। তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
ভিতর থেকে ত্বক পরিষ্কার করতে
ত্বক পরিষ্কার করার কাজে চিনির চেয়ে লবণ একটু বেশি কার্যকরী। কারণ লবণে ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা রয়েছে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া সহজে জন্মাতে পারে না। একই কথা ত্বকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয় লবণ এবং রোমছিদ্র গভীর থেকে পরিষ্কার রাখে।