২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সংগঠনটি বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আশরাফ আহমেদ বলেন, বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও এটি অনেক বেশি যা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তনের আহ্বান জানান এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় এনে কর পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান।
এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬ শতাংশ যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধাগ্রস্তা হবে না। তিনি করজাল বৃদ্ধির জন্য জোরারোপ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে। আবার কিছু কিছু পণ্যের ওপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির অনুপাতে আগের বছরের তুলনায় কমানো হয়েছে। এটি গত বছর ৫ দশমিক ২ ছিল এ বছর সাড়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটা হয়তো বা যা আছে তার থেকে কম থাকবে। এটি সরাসরি মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য অবদান রাখবে বলে আমি আশা করছি। তবে যদি আমরা তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি তাহলে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সহজ হবে। যদিও এক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এ প্রস্তাবিত বাজেটটি মুদ্রাস্ফীতি সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগ, রফতানি বৈচিত্র্যকরণ, কর জালের বিস্তৃতি এবং ঘাটতি বাজেট সহজ করতে আর্থিক খাতের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এসএইচ