আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট পেতে আজও কমলাপুরে ভিড় করছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। আজ বিক্রি হচ্ছে ২৮শে এপ্রিলের টিকিট। কাঙ্ক্ষিত সেই টিকিটের জন্য ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। অনেকে আবার রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া গতকাল যারা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি তারাও আজ এসেছেন টিকিটের জন্য।
আজ সকাল ৮টায় শুরু হয় আগাম টিকিট বিক্রি। প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কাউন্টারের সামনের লম্বা লাইন স্টেশন চত্বর পেরিয়ে সড়কে গিয়ে ঠেকে। অনেকে ৭-৮ ঘণ্টার অপেক্ষার পর টিকিট নামের সোনার হরিণ পাচ্ছেন।
শনিবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। সেদিন দেয়া হয় ২৭শে এপ্রিলের টিকিট, আজ দেয়া হচ্ছে ২৮ এপ্রিলের টিকিট।
এছাড়া ২ শে এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬শে এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৭শে এপ্রিল দেয়া হবে ১লা মে’র টিকিট।
আর ৩রা মে ঈদ হলে ২৮শে এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২রা মে’র ট্রেনের টিকিট। ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মো. জাকির বলেন, গতকাল দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাইনি। শেষ হয়ে গেছে। সেই একই লাইনে আজও দাঁড়িয়ে আছি। আশা আছে এবার টিকিট পাবো।
মো. ইমরান হোসেন নামের আরেক টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, গতকাল দুপুরের মধ্যে টিকিট শেষ হয়ে যায়। ফলে রাতেই লাইনে দাঁড়িয়েছি, যেন টিকিট কাটতে পারি।
টিকিট পেতে ভোগান্তির কথা উল্লেখ করেন মো. মাহির। তিনি খুলনা যাওয়ার টিকিট নিতে এসেছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহির বলেন, টিকিট পাওয়াটাই এখন কঠিন হয়ে গেছে। গতকাল রাত ৩টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখনো অনেক মানুষ সামনে। পরিবার নিয়ে গ্রামে যাওয়াই কঠিন হয়ে যায় ঈদে।
আরেক যাত্রী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যানজটের কারণে ট্রেনের টিকিট কাটতে গতকাল রাতে এসে দাঁড়িয়েছি। দূরপাল্লার বাসের ভাড়াও অনেক বেশি। আবার অনেক ভোগান্তিতেও পড়তে হয়। দুর্ভোগ যেন কম হয় তাই ট্রেনের টিকিট কাটতে আসলাম।