২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ৩৬৭ পয়েন্ট। তিন বছর ৭ মাস ৯ দিন পর আজ ১৯ মে (রোববার) ডিএসইর সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। এই সময়ের মধ্যে সূচক কমে গেছে ১ হাজার ৯৩৬ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলোচ্য সময়ে শেয়ারবাজারে ১৫টির বেশি নতুন কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত হয়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ার সূচকে যোগ হয়েছে। যদি কোম্পানিগুলোর শেয়ার সূচক থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ডিএসইর সূচকের পতন দাঁড়াতে পারে ২ হাজার ২০০-এর বেশি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৬৯৬। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে। ওই সপ্তাহে সূচক কমে যায় ১৭৯ পয়েন্ট। আজ নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচক পড়ে গেল আরও ৮৬ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও নানা কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। তারপরও প্রায় সব দেশের শেয়ার মার্কেট রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের শেয়ারবাজারও রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করছে। এমনকি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা শ্রীলংকার শেয়ার মার্কেটও ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট। এখানে সব খাতেই কমবেশি উত্থান হয়েছে। কিন্তু শেয়ার মার্কেট আরও পেছনের দিকে ধাবিত হয়েছে।
এন এস