জার্মানিতে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু উইন্ডমিল

সাধারণত একটি বায়ুকলের (উইন্ড টারবাইন বা উইন্ডমিল) উচ্চতা প্রায় দেড়শ মিটার হয়ে থাকে। তবে জার্মানির গিকন গ্রুপ সম্প্রতি প্রায় ৩০০ মিটার উঁচু বায়ুকল স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
২০৩০ সালের মধ্যে এক হাজার উঁচু বায়ুকল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি সম্ভব হলে একটি বায়ুকলে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, তার চেয়ে দ্বিগুন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

গিকন গ্রুপ কর্মকর্তা ইওখেন গ্রোসমান বলেন, চার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাধারণ উইন্ড টারবাইন বা বায়ুকল যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করতে পারে তা এক মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বা গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তির সমান৷ আমরা জানতাম, বায়ুকলের উচ্চতা আরও বাড়ালে আরও বেশি শক্তি উৎপাদন সম্ভব হবে৷ কিন্তু জানতাম না, সেটি কীভাবে নির্মাণ করা সম্ভব৷ সে কারণে আমরা বাতাস পরিমাপক টাওয়ার নির্মাণ করেছি৷ এখন আমরা জানি যে, ৩০০ মিটার উঁচুতে রোটর বসানো গেলে জ্বালানি উৎপাদন দ্বিগুন করা সম্ভব৷ এছাড়া উচ্চতার কারণে এগুলো বর্তমানে যেসব জায়গায় টারবাইন আছে সেখানেই স্থাপন করা সম্ভব৷ অবশ্যই একই টারবাইনে নয়, দুই টারবাইনের মাঝখানে৷

ইওখেন গ্রোসমান ও তার দল ২০১০ সালে টারবাইনের উচ্চতা বাড়ানোর স্বপ্ন পূরণের কাজ শুরু করে৷ তারই অংশ হিসেবে বছরখানেক আগে এই বাতাস পরিমাপক টাওয়ার বানানো হয়৷ এটি বিশাল এক প্রকল্পের অংশ৷ টাওয়ার থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সাধারণ উচ্চতার টারবাইনের চেয়ে দ্বিগুন উচ্চতায় বাতাস আরও শক্তিশালী ও স্থির। বিশাল আকারের উইন্ড টারবাইন ভবিষ্যতে বায়ুশক্তির প্রসার ত্বরান্বিত করতে পারে।

গ্রোসমান জানান, এই মুহূর্তে আমরা সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি তা হলো উইন্ড টারবাইন স্থাপনের জন্য জায়গা খুঁজে পাওয়া। এরপর জায়গাটি ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে ও অনুমোদন পেতেও সময় লাগে৷ তাই বর্তমানে যে জায়গাগুলোতে টারবাইন আছে সেগুলোই আমরা কাজে লাগাচ্ছি৷ ফলে অনুমোদনের জন্য তিন, পাঁচ বা সাত বছর অপেক্ষা করতে হবে না বলে আগামী কয়েক বছরে বায়ুশক্তির প্রসার অনেক বাড়তে পারে।