রিজেন্ট কেলেঙ্কারির মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম এমরুল কায়েশ অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এদিন সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবুল কালাম আজাদ জামিন আবেদন করেন।
গত মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদনের জন্য সকাল ১১টার দিকে তিনি আদালতে গিয়েছিলেন। তবে তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা জামিন চাননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘কেন তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা জামিন চাননি তা জানা যায়নি।’
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আবুল কালাম আজাদকেও আসামি করে চার্জশিট দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগে এই মামলায় সাহেদ করিমসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। সাহেদ ছাড়া বাকি ৪ জনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
তারা হলেন— অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
দুদক জানায়, ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ এই ৬ জন পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করে। এ ছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার পর অবৈধভাবে প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়।