জাতীয় তামাক কর নীতির আশু প্রণয়ন জরুরি

তামাক নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হলো তামাকজাত দ্রব্যের দাম ও কর বাড়িয়ে এর সহজলভ্যতাকে কমিয়ে আনা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করতে হলে চলতি অর্থবছর থেকে সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ ও একটি শক্তিশালী জাতীয় তামাক কর নীতি প্রণয়ন এখনই প্রয়োজন।
গত ২৮ নভেম্বর সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসির (বিএনটিটিপি) যৌথ আয়োজনে ‘ইকোনমিক্স অব ট্যোবাকো ট্যাক্সেশন: পাবলিক হেলথ পারসপেকটিভ’ শিরোনামে তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক। মিটিং সফটওয়্যার জুমে এ প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সহসাধারণ সম্পদক ও ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, যথোপযুক্ত পদ্ধতি ও পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধিসহ সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে তামাক কোম্পানি নানা অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা নানা রূপকথা তৈরি করে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান তামাক কোম্পানির এসব অপকৌশল বুঝতে এবং তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তামাক করবিষয়ক অধিকতর জ্ঞান চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, সহকারী অধ্যাপক মো. নাজমুল হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ সংবাদদাতা সুশান্ত সিনহা এবং অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল হিল্লোল।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণে গণমাধ্যম কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় তারা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।