চিনি উৎপাদনে সম্ভাবনা দেখছে ভারত

চলতি মৌসুমে ভারতে চিনি উৎপাদন কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে অল ইন্ডিয়া সুগার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসটিএ)। সংস্থাটির ক্রপ কমিটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে ভারতে ৩ কোটি ১৯ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। আগের মৌসুমে উৎপাদন হয়েছিল ৩ কোটি ১০ লাখ টন। তবে কমিটির প্রাক্কলন বলছে, চলতি মৌসুমে উৎপাদন বাড়লেও রফতানি কমে ৬০ লাখ টনে নামতে পারে। আগের মৌসুমে রফতানির পরিমাণ ছিল ৭৯ লাখ টন।

এআইএসটিএ এক বিবৃতিতে জানায়, চলতি মৌসুমে আখ উৎপাদন প্রাক্কলনের ওপর ভিত্তি করেই চিনি উৎপাদন বাড়ার কথা জানিয়েছে কমিটি। চলতি মৌসুমে চিনি উৎপাদনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে মহারাষ্ট্র। তবে উত্তর প্রদেশে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কমিটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে ভারতে চিনির ব্যবহার ২ শতাংশ বাড়তে পারে। আগের মৌসুমে ২ কোটি ৬৫ লাখ টন চিনি ব্যবহার হলেও চলতি মৌসুমে তা বেড়ে ২ কোটি ৭০ লাখ টনে উন্নীত হবে।

চিনি উৎপাদন নিয়ে এটি অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম প্রাক্কলন। ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের শুরুর দিকে দ্বিতীয় প্রাক্কলন দেয়া হবে। অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রতুল ভাইথালানি বলেন, স্থানীয় বাজারে চিনির দাম কতটা ওঠানামা করে তার ওপরই নির্ভর করছে প্রকৃত রফতানি পরিস্থিতি।

সরবরাহ চেইনে সংকটের কারণে চলতি বছর ভারতের চিনি রফতানি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারদরের ব্যবধানের কারণে মিলগুলো রফতানিতে আগ্রহ হারাচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী জাহাজীকরণ ব্যয় এ সংকট আরো তীব্র করে তুলেছে।

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি উৎপাদক দেশ। দেশটির চিনি শিল্প খাতে বড় প্রতিবন্ধকতার নাম রেলওয়ে ওয়াগন-স্বল্পতা। মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় কয়লা সরবরাহসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে চাহিদা বেশি থাকায় চিনি রফতানিকারকরা ওয়াগন পাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে ট্রাকে করেই বন্দর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হচ্ছে মিলে উৎপাদিত চিনি। এ সুযোগে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ট্রাকের ভাড়া। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে ট্রাকের ভাড়া প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে। অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন।