দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রশাসককে অমার্জনীয় ভাষায় গালিগালাজ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্মের প্রতিবাদে শনিবার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দীনকে সব মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবাদমুখর স্লোগান দিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। সভায় উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মুক্তিযোদ্ধার নেতারা।
এতে নেতৃত্ব দেন এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধকালীন সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ মাহমুদ। প্রায় ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের গাড়িচালকের চাকরি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে সেলিম উদ্দীন।
মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জমি-জমার বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে সেলিম উদ্দীন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, ভাতা উত্তোলনের চেক বইতে জাল স্বাক্ষর করে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশাসক নাশিদ কায়সার রিয়াদের পক্ষে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের মো. রফিক।
তিনি বলেন, মোবাইলে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম যে অকথ্য ভাষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন অযাচিতভাবে তার রেকর্ডও রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আলাউদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন— বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন, সরকার শামিম আখতার, এন্তাজুল হক প্রমুখ। সভার সঞ্চালক ছিলেন রিয়াজ মাহমুদ। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়।