চশমার দাম ২৯ কোটি

মুঘল আমলের চশমার দাম ধরা হয়েছে ২৯ কোটি টাকা! এতো পুরোনো চশমার এতো দাম শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ চশমার ফ্রেমে রয়েছে হীরা ও পান্নার মতো দামি পাথর।

ভারতের নাম না জানা এক রাজকীয় কোষাগারে হীরা ও পান্না দিয়ে বানানো চশমা দুটি পাওয়া গেছে। চশমা দুটিকে চলতি মাসের শেষদিকে লন্ডনে নিলামে তোলা হচ্ছে।

চশমাগুলোতে হীরা ও পান্নার মুঘল আমলের ফ্রেমগুলোর সঙ্গে যে লেন্সগুলো আছে তা ১৮৯০ সালের কাছাকাছি সময়ে লাগানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে নিলাম সংস্থা সথেবি’স। নিলামে চশমা দুটির প্রত্যেকটির দাম ২০ লাখ থেকে শুরু করে ৩৪ লাখ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ কোটি টাকার বেশি) ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

নিলামের তোলার আগে অক্টোবরে চশমা দুটি হংকং ও লন্ডনে প্রদর্শিত হবে।

চশমাগুলো মুঘল আমলে বানানো বলে ধরে নেওয়া হলেও, কোন সম্রাটের শাসনামলে বানানো হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মুঘলরা ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে ভারত শাসন করেছিল। মুঘল শাসকরা শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্টপোষক ও অনন্য স্থাপত্য কৌশলের জন্য পরিচিত ছিল।

এ ধরনের চশমা বিশ্বে বিরল বলে সথেবি’স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। একটি চশমার দুটি লেন্সই বানানো হয়েছে আস্ত একটি হীরা কেটে। হীরাটি ভারতের গোলকন্ডার খনিতে পাওয়া গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর অশ্রুবিন্দু আকৃতির পান্নার চশমাটি তৈরি হয়েছে আস্ত একটি প্রাকৃতিক কলম্বিয়ান পান্না থেকে। পান্নার চশমাটির নাম গেইট অব প্যারাডাইস বা স্বর্গের দরজা, আর হীরারটির নাম হালো অব লাইট বা আলোর দীপ্তি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রত্নগুলোর মান ও বিশুদ্ধতা এবং আকৃতি দেখে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, চশমাগুলো কোনো সম্রাটের রাজকোষেই ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ চশমার লেন্সের কাজ দৃষ্টিশক্তি বাড়ানো। তবে এই চশমার লেন্সগুলোর আধ্যাত্মিক শক্তি ছিল বলে বিশ্বাস করা হতো। হীরার চশমার আলোচিত করার শক্তি ছিল আর পান্নার চশমার খারাপ বিষয়গুলোকে দূর করার শক্তি ছিল বলে সে সময় ধারণা করা হতো।