চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত আকিবের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বাইরের কারো ইন্ধনেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া দেয় সাবেক মেয়রের অনুসারীরা। এ সময় দৌড়াতে গিয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপরীতে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব পড়ে যান। এ সময় তাকে মারাত্মকভাবে মেরে জখম করা হয়।
বর্তমানে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আকিব। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আকিবের মাথার হাড়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। সঙ্গে ব্রেইনেও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আর চমেকের আইসিইউ বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রনয় কুমার দও জানান, আকিব এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বাইরের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেনা আখতার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রক্তিম ও সীমান্ত নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।