গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দারের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চত করে জানান, পাটগাতী বাজারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শ্রীরামকান্দি ও পাটগাতী গ্রামের দুইজনের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ওই দুই গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষের লিপ্ত হয় গ্রামবাসীরা। এসময় একে অপরের উপর বৃষ্টির মত ইট নিক্ষেপ করতে থাকে।
প্রায় ২ ঘন্টা ধরে চলা দফায় দফায় এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপেক্ষ ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামের বাড়ি ও বাসস্ট্যান্ডের বেশ কয়েকটি দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
ওসি আরো বলেন, এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেশ কিছু বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। সেগুলো আমরা পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষ চলাকালে সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এন এস