‘গর্তে মিলল হাত-পা-মুখ বাঁধা নারী’

 

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়ির প্রাচীরের পাশের একটি গর্ত থেকে হাত পা নাক মুখ চোখ বাঁধা অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করেছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রতিবেশী জাকির হোসেন ও ইদ্রিস আলী জানান, উপজেলার বড়বামুন্দা গ্রামের আনার উদ্দীন মন্ডলের ছেলে অহেদুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকেন। গ্রামের প্রাচীরে ঘেরা বাড়িতে তার দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (৩৫)।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা শাহনাজকে হাত পা মুখ বেঁধে বাড়ির প্রাচীরের পাশে টিউওয়েলের পানি যাওয়া গর্তে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ভোরে দিকে প্রতিবেশীরা ফজরের নামাজের জন্য বাইরে এলে গোঙানির শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শাহনাজের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শাহনাজের ছেলে সুমন (১৮) বলেন, ‘আগের তুলনায় মা কিছুটা ভালো। এখন সামান্য কথা বলছেন, তবে গলায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন।’

তিনি বলেন, তার মা জানিয়েছেন রাত দেড়টার দিকে তিনি ঘরের বাইরে বাথরুমে আসেন। বাথরুম থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ঢোকার দুই পাশের দুটি গেট থেকে আনুমানিক ৫/৬জন তার চোখে চট লাইল ধরে মুখ চেপে ধরে। সেই সঙ্গে মাথায় ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় তার হাত পা বাঁধে চোখে নাকে মুখে পলিথিন জড়িয়ে দিয়ে গলার ওপর পা তুলে দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

সুমন দাবি করেন, তার মাকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা ওই গর্তের ভেতর ফেলে দিয়েছে। তবে কারা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল সে বিষয়ে তিনি এখনো কিছু বলেননি।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুদ্দীন জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।