গম রফতানি সীমিত করার কথা ভাবছে ভারত। বৈরী আবহাওয়ায় দেশটিতে প্রত্যাশার তুলনায় কম গম উৎপাদনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রফতানির পরিবর্তে স্থানীয় সরবরাহ বাড়ানোর প্রতি জোর দিচ্ছে দেশটির সরকার। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গমের উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়েছে ভারত সরকার। ২০২২-২৩ মৌসুমের জন্য প্রাক্কলিত উৎপাদন ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টন। গমের ফলন আসার শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধান আবাদি অঞ্চলে দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছে। গরম বাতাসে বেশির ভাগ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই পূর্বাভাস কমানো হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারত রেকর্ড সর্বোচ্চ ১১ কোটি ১০ লাখ টন গম উৎপাদনের প্রাক্কলন করেছিল। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে টানা সাত বছরের মতো শস্যটির রেকর্ড উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় গম রফতানি সীমিত করার কথা ভাবছে ভারত সরকার। গমের বৈশ্বিক বাজার এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। তার ওপর ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিলে বাজারে অস্থিতিশীলতা আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক। এক্ষেত্রে ইউক্রেনেরও ভালো আধিপত্য রয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর দেশটির কৃষি খাত হুমকির মুখে পড়ে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার রফতানি খাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। অন্যদিকে কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত ইউক্রেনের সব বন্দর বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের কারণে বছরের শুরু থেকেই গমের বৈশ্বিক বাজার চড়া।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ২০২১-২২ মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ গম রফতানির প্রক্ষেপণ করেছিল ভারত। রফতানির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৯০ লাখ টন। পরবর্তী মৌসুমে রফতানি দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে এ সম্ভাবনা এখন অনিশ্চয়তায় রূপ নিয়েছে। উৎপাদন ছোট হয়ে আসতে পারে। দেশের ১৪০ কোটি জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য রফতানি ও স্থানীয় সরবরাহে ভারসাম্য আনা জরুরি।