অনুকূল আবহাওয়ার প্রভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় চলতি মৌসুমে ব্যাপক পরিমাণ গম উৎপাদন হয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কৃষিপণ্যটি রফতানিতে উল্লম্ফনের সম্ভাবনা দেখছে অঞ্চলভুক্ত দেশগুলো।
ইউরোপিয়ান কমিশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমের এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ১ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার টন গম রফতানি করেছে। গত মৌসুমের একই সময় অঞ্চলটি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টন গম রফতানি করা হয়েছিল। তবে এখনো ফ্রান্সের রফতানি তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০২১-২২ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে গত বছরের জুলাইয়ে। চলতি বছরের জুনে মৌসুম শেষ হবে। এক সপ্তাহ আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ইইউর গম রফতানি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সময় সংস্থাটি জানায়, ইইউভুক্ত দেশগুলো ১ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার টন গম রফতানি করেছে। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রফতানি প্রায় ১০ লাখ টন বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গম রফতানিকারক ফ্রান্স। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দেশটির রফতানি তথ্য এখনো প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তবে পণ্যবাহী জাহাজের তথ্য সরবরাহকারী সংস্থারগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে দেশটির গম রফতানি গত মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। সে হিসেবে ইইউর রফতানিও গত মৌসুমকে ছাড়িয়ে যাবে।
মৌসুমের এখন পর্যন্ত ইইউর সবচেয়ে বড় গম রফতানি গন্তব্য ছিল আলজেরিয়া। দেশটিতে ২৫ লাখ ১০ হাজার টন গম রফতানি করা হয়েছে। মিসরে রফতানি করা হয়েছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টন। এছাড়া চীনে ১২ লাখ ৩০ হাজার টন গম রফতানি করা হয়েছে।