নব্বইয়ের শৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী, গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, দেশে তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লেবানন শাখার নেতৃবৃন্দ। গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি লেবানন কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে “৭ই নভেম্বর সিপাহি বিপ্লব ও সংহতি দিবস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জম্মবার্ষিকী এবং বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এই দাবি তুলেন।
বাংলাদেশ সরকারকে উদ্দেশ্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, অনেক তালবাহানা করেছেন, দেশের মানুষ আপনাদের সব গোপন ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে। দেশে মানুষ বিএনপির পাশে আছে বলেই আপনাদের কোন ষড়যন্ত্র বিএনপিকে ভাঙ্গতে পারেনি। বরং অগের চেয়ে অধীক শক্তিশালী হয়েছে। অতি সত্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিন, অন্যথায় পালাবার রাস্তা পাবেন না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশে ও বিদেশে তীব্র থেকে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এনে সরকার পতন ঘটানো হবে। নেতৃবৃন্দ সকল জিয়া সৈনিকদের আহবান করেন, দলের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য।
লেবানন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম আইমান ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন রহিমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেবানন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক প্রধান আহবায়ক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আবদুল হালিম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মজিব, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুরুল আমিন মিয়াজি, রুহুল আমিন, আমির হোসেন কলিম, আবদুল খালেক তাহের, কাউছার আলম, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন সরকার, সিনিয়র সহ সভাপতি জাকির হোসেন জাকির, সহ সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক, জসিম উদ্দিন, ওয়াসীম আকরাম,আবদুল কাদের, সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, প্রচার সম্পাদক আল মামুন, আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মজিব, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের আহবায়ক সদস্য এবং যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম।
আরো বক্তব্য রাখেন, লেবানন বিএনপির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসান সুমন, মহিলা সম্পাদিকা জাহানারা আক্তার সাথী, সাঈদা শাখা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন তুষার, রাব্বুল শেখ, রফিকুল ইসলাম, মোস্তফা পাটোয়ারী,আলী আকবর, কোরবান আলী, মোঃ ফারুক গাজী, সুমন ভুঁইয়া, সাদ্দাম হোসেন, বিলাল হোসেন, মোহাম্মদ শাহাজান,মহিলা সম্পাদীকা কলি আকতার, রিতা আকতার,বিপুল শীল,সুমন ইসলাম জয়,সাইফুল ইসলাম,মোহাম্মদ হারুন, নাছির উদ্দীন, আলম শেখসহ প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, আলবস্তা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাইদা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি রইছ উদ্দীন, মহিলা সম্পাদীকা জাহানারা সাথী, কলি আকতার, রিতা আকতার, মুন্নি খন্দকার প্রীতি সহ অনেকে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে হয় এবং জাতীয় সঙ্গীত এবং দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানটি ঘিরে ছিল নানান জল্পনা কল্পনায়
সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন,বাংলাদেশের সিপাহী ও জনসাধারণ ১৯৭৫ সালে প্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানকে বন্দী দশা থেকে যেভাবে মুক্ত করে এনেছিল, ঠিক তেমনি অনির্বাচিত মধ্যরাতের ভোট ডাকাত ও জালিম সরকারের কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দেশ ও প্রবাসে সকল জিয়ার সৈনিকদের ঐক্য বদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
সেই সাথে দল বিরোধী সুষ্পস্ট প্রমান থাকায় ও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এবং আওয়ামী লীগ এর সাথে আঁতাত প্রমাণে লেবানন বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের মূখে লেবানন বিএনপি’র সকল দলীয় কর্ম থেকে প্রধান উপদেষ্টা মফিজুল ইসলাম বাবুল ও উপদেষ্টা সদস্য মানিক মোল্লাকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং লেবানন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাঢংগঠনিক সম্পাদক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আবদুল হালিমকে দলের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে লেবাননে আওয়ামী লীগের সাইদা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাগর হোসেন আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে অনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। লেবানন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদারের হাতে ফুল দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দেন। উপস্থিত জনতা তাকে করতালীর মাধ্যমে বিএনপিতে বরণ করে নেন।
সবশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল আকার কেক কেটে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে লেবানন বিএনপির সকল শাখা কমিটি, অংগ সংগঠন যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ শত শত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সতস্ফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহন করেন।