কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কৃষক রিয়াজ উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় চার দিনেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। নিহত রিয়াজ (৪৭) উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শানপুকুরিয়া গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩৪ শতাংশ পৈত্রিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শানপুকুরিয়া গ্রামের মৃত ইদবার শেখের ছেলে হারুন শেখ (৫০) ও মৃত নায়েব আলীর ছেলে হোসেন আলী শেখের (৪৫) সঙ্গে মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ, মো. কাওছার আলী ও রিয়াজ উদ্দিনের বিরোধ চলছিল।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমির গাছ থেকে কাঁঠাল কাটতে গিয়েছিলেন হোসেন আলী শেখের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪৫)। সেসময় আ. লতিফ কাঁঠাল কাটতে নিষেধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে হোসেন আলীর ছেলে মো. সুমন (২৫) রিয়াজের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কাওছার আলী সমকালকে বলেন, তাঁর নিহত ভাইয়ের সন্তানরা নাবালক। সেজন্য তিনি বাদী হয়ে গত রোববার রাতে ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ এখনও এটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। নানা জায়গায় ধরনা দিয়েও থানায় মামলা হচ্ছেনা।
তবে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হাতে ওই কৃষক নিহত হয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা এজাহার জমা পড়েনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এন এস