কুসুমিকা ।।

রহমান হেনরী :

ভিতরে কুসুম। ফোটে। আকাশে কী বজ্রচেরা ডাক!
‘যাবো না, যাবো না’— তবু, চলে যাচ্ছি বিভ্রমের দিকে
অবিরাম। বিহারে-বিহারে, সত্যি, কত যে ফারাক—
বুঝাতে পারিনি কোনও ভূখণ্ডের আধা-সঙ্গিনীকে;

ভ্রমণের শখে নয়— আমরা ঘুরেছি সর্বলোকে
যোদ্ধা ও সন্তের মতো; তাতে শুধু জীবনের দায়;
ফুটিয়েছি শত শোভা বিপর্যস্ত ক্ষুধার গোলকে—
হায়, ঋষি! পুষ্পেরাও কি ধর্মে পৃথক হয়ে যায়?

বাহিরে কুসুম। পোড়ে। মর্মে খোলা অজস্র দিয়ার;
অবশেষে, দেখো: অরণ্যেই তো নামলো পাখিদল—
সকলেই যাযাবর। —ভবঘুরে ছাড়া সে, কী আর!
ঠিকানা বোঝেনি কোনও বাসনার বিচিত্র অঞ্চল।

তা হলে? বিহারে যাই, সব তীর্থ পড়ে থাক পথে;
বানপ্রস্থ সত্য হোক— সন্ন্যাসীর সংসার-শপথে!