পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ‘কুত্তা’ বলে গালি দেওয়ায় একই পরিবারের ছয়জনকে কামড়ে আহত করেছেন এক যুবক। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম কালাম সরদার।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে কালামদের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার শিকদারদের দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে।শুক্রবার বিকেলে কালাম বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী বাবুল হাওলাদারের ১০ বছর বয়সী ছেলে তাকে কুত্তা (কুকুর) বলে গালি দেয়। এতে কালাম খেপে গিয়ে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আনোয়ার শিকদার ও সাত্তার শিকদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাধা দিতে এলে ওই পরিবারের শিশুসহ ছয়জনকে কামড়ে দেন কালাম।
আহতরা হলেন-মাসুদা বেগম, সুমাইয়া আক্তার, ছয় মাসের শিশু রাইয়ান, শাকিল, লাভলী ও তাসমিম। তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘পাশের বাড়ির একটা ছেলে কালামকে গালি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ধারণা করেন এটি আমরা ওই ছেলেকে শিখিয়ে দিয়েছি। তাই বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের কামড়ে আহত করেছেন।’
তবে অভিযুক্ত কালাম সরদারের ভাতিজি মানসুরা আক্তার বলেন, তাদের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ চলছে। শুক্রবার দু’পক্ষের মারামারি হয়েছে। তবে কামড়ের বিষয়টি বানোয়াট। কিছু দিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে তারা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে ও জমি দখল করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কালামের পরিবার অত্যন্ত খারাপ। তারা বিগত দিনেও মৌলভী আ. বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সরদারকে কামড়িয়েছে।’
দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।