১৯৯৩ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় প্রিয়তমা স্ত্রী। বাংলা সিনেমার সোনালি যুগের শেষ সময়কার নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ স্লোগান নিয়ে ছুটে বেড়ান সারাদেশ। নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নের পেছনেও রয়েছে তার বড় অবদান।
শ্রমিকদের আন্দোলনে বিভিন্ন জায়গায় ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছেড়া, পুড়িয়ে দেয়া বা কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় মনে আঘাত পেয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য সিনেমার ক্যারিয়ার শেষ করেছি। আমার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছি। আমি যাই করেছি, সকলের নিরাপদ জীবন নিশ্চিতের জন্য করেছি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধের আন্দোলনটা আমার মাধ্যমেই শুরু হয়। এজন্যই হয়তো শ্রমিকরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত। শ্রমিকরা মনে করে, সড়ক দুর্ঘটনায আল্লাহর ইচ্ছায় হয়, কারো হাত নেই।
তিনি বলেন, মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিকদের প্রকৃত উন্নয়ন চায় না। কারণ শ্রমিকরা যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কাজ করেন তাহলে ওই ড্রাইভারের কাছ থেকে সংগঠনগুলো কোন চাঁদা নিতে পারবে না।
আইনের বিষয়ে ছাড় দেয়া উচিত নয়, উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইনের কোনো বিষয়ে ছাড় দেয়া ঠিক হবেনা। এবার যদি আমরা হেরে যাই, তাহলে হেরে যাবে পুরো বাংলাদেশ।