জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি মামলায় নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মচারীকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন- সাগর চৌধুরী ও সত্য সুন্দর দে। তারা ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি উইংয়ের অধীনে প্রকল্পে কমর্রত আছেন।
রোববার চট্টগ্রাম চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘সাগর চৌধুরী ও সত্যসুন্দর দে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রোহিঙ্গা এনআইডি সংক্রান্ত মামলার আসামি। তারা গত ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষের পর হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তারা রোববার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। একইসঙ্গে তারা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার কয়েকটি ঘটনা জানাজানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
বাকি দুজন হলেন- জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। ওই ল্যাপটপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেওয়া হত বলে অভিযোগ করা হয় জয়নালের বিরুদ্ধে। ওই রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাগর ও সত্যসুন্দরকেও আসামি করা হয়। এ মামলায় সাগর ও সত্যসুন্দরসহ ১৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।