উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। আপনারা সরকার থেকে যে ওষুধ পান সেটির ঘাটতি থাকলে পূরণ করার চেষ্টা হবে। যন্ত্রপাতি যেন চালু থাকে সে ব্যপারে আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। আপনাদের কাজ করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মানুষ সেবা নিতে যায়। শিশু মৃত্যুর অনেক কমে এসেছে। এটি আপনাদেরই কাজের মাধ্যমে। কাজেই আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত প্রথম ইউএইচএফপিও (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের পদোন্নতির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকের কাজ ও যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন পদানতি হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে লোকবল সংকট আছে। খুব দ্রুত সেগুলো মোকাবিলা করতে পারব। এ সংকট মোকাবেলায় বিগত সময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ পৌনে পাঁচ লাখ লোক নিয়োগ হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে প্রশংসা করেছে। সেটি আপনাদেরই প্রাপ্য।
করোনা সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় কোনো ধরনের ওষুধ সংকট দেখা দেয়নি। আমরাই প্রথম করোনা গাইডলাইন তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই না তৃতীয় ঢেউ আসুক। এজন্য স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করতে পারলে হাজার হাজার ডলার দেশের বাইরে যাবে না।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ৮০ শতাংশ রোগ ভালো হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সবার রুট (শেকড়) গ্রাম থেকে। এ কারণে আমাদের উপজেলা ও কমিউনিটি ক্লিনিকে পদায়ন হলে মন খারাপ করা যাবে না।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, নিরাপত্তার বিষয়গুলো সরকার ও প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, চিকিৎসকদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। পদায়ন পদন্নোতি নির্দিষ্ট নিয়মে হতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে বেড বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসকের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে।