ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

শাহাদাত হোসেনঃ

শেখ হাসিনা সরকারের দেশ ত্যাগের প্রথম দিনেই সরকারী বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)। এমন পরিস্থিতিতে আজ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এস আলম গ্রুপের লুটপাটের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ব্যাংকটির সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তা ও স্টাফরা ।

ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের ডিএমডি রেজাউর রহমানকে মারধর করেছে আইবিবিএলের লোকজন। ইসলামী ব্যাংকের একজন ডিএমডি জানান, তাকেও ব্যাংকে ঢুকতে দিচ্ছেন না বিক্ষুদ্ধরা।

আইবিবিএলের সিবিএ সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান অর্থ বাংলাকে বলেন, ২০১৭ সালে দেশ এবং বিদেশের অর্থনৈতিক খারাপ সময় পার করেছে ইসলামী ব্যাংক। দেশী এবং বিদেশী বিভিন্ন চক্র অব্যাহতভাবে কাজ করার কারণে ব্যাংকের অবস্থা এতোদিন নিম্নে মুখী ছিল। দেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে ইসলামী ব্যাংক আগের মত গ্রাহকের আস্তা ফিরে পাবে এবং এগিয়ে যাবে।

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ইসলামী ব্যাংকের উপর ১৮ কোটি মানুষের আস্থা আছে।  আমাদের প্রবাসীরা পূর্বের ন্যায় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাক ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে।

ব্যাংক গ্রাহক মঈনউদ্দীন মামুন অর্থ বাংলাকে বলেন, ২০১৬ সালের পর থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এস আলম গ্রুপ হরন করেছে। আমরা এই হরন কারিকে দেখতে চাই না। যাদের ব্যাংক তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তারা তাদের সঠিক মূল্যায়ন করে ব্যাংক চালাবে এবং তাদের কাছে ব্যাংক ফিরিয়ে দেওয়া হয়।  আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রিজার্ভ কয়েকগুন বেড়ে যাবে।

সিবিএ সাবেক সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন রতন অর্থ বাংলাকে বলেন, ইসলামী ব্যাংক শরীয়া ভিত্তিক মজবুত করে সুন্দর ভাবে আবার পূর্ণ গঠন করা হবে। ব্যাংকের ঘরোয়া দুশমন গুলো বিভিন্ন লেয়াজু করে  এস আলম গ্রুপকে প্রবেশ করিয়েছে। তাদের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে সিঙ্গাপুর অফিস করে বিলাসী জীবন যাপন করছে। এবং সেই টাকার ভাগ শেখ রেহানাকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকে নির্যাতিত গ্রাহক, কর্মী, অফিসার এবং চাকরিচ্যুত অফিসার সকলকে অনুরোধ করবো আমরা যারা ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলাম আজকে শেখ হাসিনার দালালরা এবং এস আলম গ্রুপ সব লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে। এস আলম দোসররা কোন ভাবেই যেন ব্যাংকে ডুকতে না পারে। আমি ইসলামী ব্যাংকের সকল সৎ কর্মীকে আহ্বান জানাই। আমাদের দাবী ইসলামে ব্যাংকে পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। যাদেরকে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পূর্ণবহাল করতে হবে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের পর নির্বাহী পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা পদায়ন হয়েছে তাদেরও আর ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।