ফেনীর পরশুরামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আহম্মদের বিরুদ্ধে এক কৃষককে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অপমানে আবু আহাম্মদ (৫০) নামের ওই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ওই কৃষকের লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রহিমা আক্তার বাদি হয়ে পরশুরাম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের কাউতলী গ্রামে আত্মহত্যা করেন ওই কৃষক।
নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, গতকাল সোমবার রাতে ধানখেতে ওষুধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মদ তার স্বামীকে অফিসে ডেকে নিয়ে বটতলী বাজারে প্রকাশ্যে মারধর করেন। একপর্যায়ে আবু সেখান থেকে পালিয়ে যান।
রহিমা আক্তার বলেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতা তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আবুকে অফিসে পাঠানোর জন্য তাকে হুমকি দেন। জবাবে স্বামী বাড়িতে নেই জানালে ফিরোজ লোকজন পাঠিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ফিরোজ তার মোবাইালে ১০/১২ বার ফোন করে দিয়ে হুমকি দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন কৃষকের স্ত্রী।
পরে রাত ১০টার দিকে আবুর লাশ বাড়ির পেছনে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরই স্থানীয়রা পরশুরাম থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পরশুরাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্য মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা। ফিরোজ আহাম্মদ বলেন, আবু আহাম্মদের স্ত্রীকে রাতে মোবাইল করে আজ সকালে তার সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। তাকে তার জমিতে ওষুধ দিতে বলা হলে সে অন্য একজনের ধানখেতে ওষুধ দেওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসা করতে ডাকা হয়েছিল।