শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের আত্মত্যাগের স্মৃতি বুকে নিয়ে তার জন্মবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার হোক- বাংলার বুকে আর একটি শিশুর জীবনও অকালে ঝরে যাবে না। প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠুক নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায়।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহীদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে শিল্পমন্ত্রী শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং জন্মদিনের কেক কাটেন।
শেখ রাসেল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল আমার বন্ধু ছিলেন। যখন তাদের বাসায় যেতাম, দেখতাম শেখ রাসেল বল নিয়ে মাঝে মাঝে খেলা করছে। প্রায়ই আমাদের কাছে ছুটে আসতো। বন্ধুর ছোট ভাই এবং বঙ্গবন্ধুর পুত্র হিসেবে আমরা তাকে অসম্ভব স্নেহ করতাম।
মন্ত্রী আরও বলেন, মহান পিতার রক্ত শেখ রাসেলের ধমনিতে বইছিলো। শৈশব থেকেই যিনি বঙ্গবন্ধুর মত একজন নেতার সংস্পর্শে দেশপ্রেম আর আদর্শের দীক্ষা পাচ্ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য যুগান্তকারী কিছু করতেন।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর থেকে শেখ রাসেলের জন্মদিন জাতীয়ভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘাতকেরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।