আয় বেড়েছে এমারাল্ড অয়েলের

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ২৬ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান), যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০ টাকা ৩৭ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৮ পয়সা (লোকসান)।

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৯ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৩৪ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১০ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৯টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। এছাড়া গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সর্বমোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশসহ) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩৭ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ পয়সা (ঘাটতি)।

এর আগে ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সা, ২০১৮ সালে এক টাকা ৯৭ পয়সা এবং ২০১৯ সালে এক টাকা ১৪ পয়সা শেয়ারপ্রতি লোকসান গুনেছে কোম্পানিটি।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর মাত্র তিন বছর শেয়ারহোল্ডোরদের জন্য লভ্যাংশ দিয়েছে। অর্থাৎ ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য যথাক্রমে ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস, ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস এবং ১০ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল তিন ৩৩ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০১৬ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৭ টাকা ২৩ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল তিন টাকা ১০ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি এনএভি ছিল ১৬ টাকা ২৯ পয়সা।

 

এন এস