আফ্রিকা-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ চালু, বাংলাদেশে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের দূতাবাস স্থাপন, এফটিএ ও পিটিএ সইয়ের ওপর গুরুত্বারোপের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
‘বাংলাদেশ ও আফ্রিকার মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব দাবি জানানো হয়।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বাংলাদেশের মোট রফতানির মাত্র ১ দশমিক ০২ শতাংশ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হয়।
তিনি বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ তুলা আমদানি করে। বর্তমানে বাংলাদেশের টেক্সটাইল, কৃষি, ফিশারিজ, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ খাতে আফ্রিকার বিনিয়োগ প্রায় ৩০৬ মিলিয়ন ডলার। আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ চালু, বাংলাদেশে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের দূতাবাস স্থাপন, এফটিএ ও পিটিএ সইয়ের ওপর জোর দেন তিনি।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ওষুধ, টেক্সটাইল, কৃষিজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও পাদুকা প্রভৃতি পণ্যেও ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
আফ্রিকায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকারের পক্ষ থেকে নীতি-সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, আফ্রিকা মহাদেশে প্রচুর জমি রয়েছে, যেখানে আমাদের উদ্যোক্তারা তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, আফ্রিকায় বাংলাদেশি পণ্য রফতানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইপিবি পাঁচটি বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
রফতানি করা পণ্যের ওপর আফ্রিকার দেশগুলোর উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে সেখানে বাংলাদেশের রফতানি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে না বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আরও বেশি হারে বাংলাদেশি পণ্য আফ্রিকায় রফতানির উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
শনিবার অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আফ্রিকা) মো. তারিকুল ইসলাম, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড-এর পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, এফসিএ, এফসিএমএ এবং ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।