শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর উপদেষ্টারা জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত যুব মেলা পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে ১২ জন সফল আত্মকর্মী ও ৩জন শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে, সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে, কেউ তার লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার কারণে নিগৃহীত ও বঞ্চিত হবে না। এক্ষেত্রে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করবে আজকের ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজ।
যুবক ও যুব নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আমরা কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে যারা ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা, ট্রাফিক সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাদের সরকারের সব কার্যক্রমে যুক্ত করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। তারই অংশ হিসেবে ট্রাফিক কার্যক্রমের দায়িত্ব নেওয়া শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের আয়োজন করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং সেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগানোর জন্য সহায়ক পুলিশ হিসেবে তাদের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে ৬৪টি জেলায় ৬৪টি খাল ও জলাশয় পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। এর পাশাপাশি আমাদের আয়োজনের অংশ হিসেবে রয়েছে জাতীয় যুব মেলা। শনিবার থেকে সাত দিনব্যাপী সেই যুব মেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণদের নিয়ে শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয় সমগ্র পৃথিবী নতুন করে ভাবছে, অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের তরুণরা এই জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে একটি নতুন পথ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, তারুণ্যের ভেতরে যে উদ্যম,স্পৃহা ও ইচ্ছাশক্তি রয়েছে এসব গুণাবলিকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ একটি ভালো জায়গায় যাবে। এই জুলাই অভ্যুত্থানে সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিল। দেশমাতৃকার জন্য তারা মৃত্যুকে বরণ করতে পিছপা হয়নি। ফলে আমরা মনে করি আমাদের এই লড়াইটা চলমান এবং আমরা অবশ্যই আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করে নতুন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়া করাবো।
এস এইচ এস