শ্লীলতাহানি মামলায় রাজধানীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৪ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
ফেসবুকে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এক নারীর সঙ্গে তাঁর ওই ভিডিওকে এখন তিনি নাটকের মহড়া বলে দাবি করছেন। তবে ওই নারীর দাবি, কাউন্সিলর তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছেন।
গত শুক্রবার ভুক্তভোগী ওই নারী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী হয়েও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সাংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি আইনগত সহযোগিতা কামনা করছি।’
এদিন এ মামলার ধার্য তারিখ থাকায় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এরপর তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন এক নারী। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটির এজাহার পৌঁছায়। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালত মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তাসংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস চা দোকানির কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে চিত্তরঞ্জন তাঁকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাঁর রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান ওই নারী। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।