ডিভিডেন্ড ঘোষণা ৭ কোম্পানির

বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড ঘোষণায় সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল টিউবস, জিকিউ বলপেন, খুলনা পেপার অ্যান্ড পিন্টিং, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, হাক্কানি পাল্প, এটলাস বাংলাদেশ ও ইস্টার্ন ক্যাবলস।

মোজাফ্ফর হোসাইন:

মেশিনারীজ অর্ধেক বন্ধ থাকার কারণে কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লোকসানে পতিত হয়েছে। এবছর লোকসান হয়েছে শেয়ারপ্রতি ৯৩ পয়সা। তারপরও কোম্পানিটির পর্ষদ ডিভিডেন্ড থেকে শেয়ারহোল্ডারদের বিমুখ করেনি। এবারও ২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৯৯ কোটি টাকার ১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

হাক্কানি পাল্প:

১৯ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটি কয়েক বছর ধরে লোকসান রয়েছে। তারপরেও আগের বছরের ন্যায় এবারও লোকসান নিয়ে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

এটলাস বাংলাদেশ:

রাষ্ট্রাধীন এই কোম্পানিটি ৪ অর্থবছর ধরে লোকসান রয়েছে। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ কখনো ডিভিডেন্ড দেয়া থেকে বিরতি দেয়নি। এবার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় এখনো কয়েকগুণ বেশি রিজার্ভ রয়েছে।

বর্তমানে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৩৯৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের ১২ গুণ।

ইস্টার্ন কেবলস:

রাষ্ট্রাধীন এই কোম্পানিটি আগের অর্থবছরেও লোকসান করে। তবে ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করেনি। এবারও কোম্পানিটির পর্ষদ লোকসান সত্ত্বেও ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৪৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।

ন্যাশনাল টিউবস:

রাষ্ট্রাধীন কোম্পানিটি গত ৩ বছর ধরে লোকসানে রয়েছে। তবে এবার লোকসান কমে এসেছে শেয়ারপ্রতি ১৬ পয়সায়। গত বছর শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আগের বছরের ন্যায় এবারও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বো্নাস ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৩১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ৫২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এটি পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত সর্বোচ্চ রিজার্ভের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কোম্পানি। এর রিজার্ভের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের ১৬ দশমিক ১৬ গুণের বেশি।

জিকিউ বলপেন:

আগের অর্থবছরেও কোম্পানিটির পর্ষদ লোকসান সত্ত্বেও ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ১২ পয়সা লোকসান হয়েছিল। এবার লোকসান হয়েছে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা। লোকসান সত্বেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বর্তমানে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ১১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

খুলনা প্রিন্টিং:

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ঝামেলায় মাঝে উৎপাদন বন্ধ ছিল। তবে উৎপাদন শুরু হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মুনাফা করতে পারেনি। এ বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের দুটি অর্থবছরে লোকসান করে ডিভিডেন্ড না দিলেও এবার ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৭৩ কোটি টাকার ৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ৩৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।